দিনে ৮ ঘণ্টা অফিসেই থাকেন? যে ৫টি অভ্যাসে বাড়ছে ডায়াবেটিস
প্রকাশিত:
১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০৭
আপডেট:
১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১১:১৮
যারা বাড়িতে থাকেন, তাদের কাজ কম বা বেশি যাই হোক না কেন, সাধারণত তাদের এক জায়গায় বসে থাকার সুযোগ কম হয়। একজন সুস্থ মানুষ অন্তত এক ঘণ্টায় একবার জায়গা পরিবর্তন করেন।
কিন্তু কর্পোরেট বা বেসরকারি সংস্থায় যারা কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই চিত্রটা ভিন্ন। লক্ষ্য পূরণ ও সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চাপে তারা প্রায়শই এক জায়গায় একটানা বসে কাজ করেন, এমনকি ডেস্কেই খাবার খান। এর ফলে দৈনন্দিন সুস্থ রুটিনগুলো ব্যাহত হয়। লন্ডন প্রবাসী চিকিৎসক কর্ণ রাজন বলছেন, অফিসে নিয়মিত কাজ করা ব্যক্তিদের কিছু অভ্যাস তাদের ক্রমশই ডায়াবেটিসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
চিকিৎসক কর্ণ রাজনের মতে, অফিসের কর্মীদের যে ৫টি অভ্যাস তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে ফেলছে, তা সহজ ভাষায় নিচে তুলে ধরা হলো:
১. দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে থাকা
সম্প্রতি এক বিজ্ঞানী বলেছেন, ‘বসে থাকাটাই এখন নতুন ধূমপান’ এর মতো ক্ষতিকর। অফিসের কাজের চাপে কর্মীরা ৬-৮ ঘণ্টা একটানা বসে থাকেন, শুধু শৌচাগারে যাওয়ার সময় ছাড়া ওঠেন না। এই নিষ্ক্রিয়তা শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লেও ইনসুলিন তা ভাঙতে পারে না এবং শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে, যা ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ।
২. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
কাজের চাপে পুষ্টিকর খাবারের বদলে অনেকেই প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, মিষ্টি এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খান। এতে ক্যালোরি, চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা ওজন বাড়ায় এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়।
৩. পর্যাপ্ত বা অনিয়মিত ঘুম
কাজের চাপ বা রাতে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে অনেকেরই ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম হয় না। অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
৪. সকালের নাস্তা (প্রাতরাশ) না করা
অফিসে যাওয়ার তাড়া এবং সময় বাঁচানোর জন্য অনেকেই সকালের নাস্তা না করেই অফিসে যান। দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকলে ইনসুলিনের কাজ ব্যাহত হয়। ইনসুলিন কাজ না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, যা দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
৫. অতিরিক্ত মানসিক চাপ
কাজের চাপ থেকে মানসিক চাপ তৈরি হয়, যা শরীরে কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন)-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায় এবং মিষ্টি ও নোনতা খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: