প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া কি সত্যিই উপকারী?
প্রকাশিত:
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৪৪
আপডেট:
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:১৭
প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে’ এই কথাটি আমরা বহুবার শুনেছি। এটি আমাদের ধারণা দেয় যে ফলটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং রোগ থেকে দূরে রাখতে পারে।কিন্তু আমরা যদি প্রতিদিন আপেল খাই, তাহলে কি এটি আসলে আমাদের অসুস্থ হওয়া বা ডাক্তারের কাছে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
একটি আপেল প্রতিদিন ডাক্তারকে দূরে রাখে: সত্যি নাকি ধারণা?
‘একটি আপেল প্রতিদিন ডাক্তারকে দূরে রাখে’ এই কথাটি ১৮৬৬ সালে ওয়েলসে প্রচলিত ছিল, যার মূল কথা ছিল ‘ঘুমানোর সময় একটি আপেল খান এবং আপনি ডাক্তারকে তার রুটি রোজগার থেকে বিরত রাখবেন।’ যদিও আক্ষরিক অর্থে সত্যি নয়, তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত আপেল খেলে তা হৃদরোগ, স্ট্রোক, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আপেল একটি স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে পরিচিত যা ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণে ভরপুর।
একটি মাঝারি আকারের আপেলে পুষ্টি উপাদান থাকে:
ক্যালরি: ৯৫
কার্ব: ২৫ গ্রাম
ফাইবার: ৪.৫ গ্রাম
ভিটামিন সি: দৈনিক চাহিদার ৯% (DV)
তামা: দৈনিক চাহিদার ৫%
পটাসিয়াম: দৈনিক চাহিদার ৪%
ভিটামিন কে: দৈনিক চাহিদার ৩%।
বিজ্ঞাপন
অনেকে আপেলকে তাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যোগ করেছেন। এটি কতটা উপকারী? প্রতিদিন একটি আপেল খেলে তা হজম, হৃদরোগ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। আপেল ফাইবার (পেকটিন) সমৃদ্ধ যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনলও রয়েছে যা কোষকে ক্ষতি এবং প্রদাহ থেকে রক্ষা করে।
আপেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
ফলটির প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। আপেল খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে হৃদযন্ত্রের উন্নতি করে। পেকটিন একটি প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টি জোগায়। যে কারণে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
আপেলে থাকা ফাইবার গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করে, পেট ভরে রাখে। যে কারণে চিনি এবং ওজন স্থিতিশীল করে। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বক উন্নত হয়।
আপেল ওজন কমাতে সহায়তা। যেহেতু আপেল ফাইবার এবং পানিতে সমৃদ্ধ, তাই এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে পরোক্ষভাবে সাহায্য করে।
আপেল হৃদযন্ত্রের ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত। গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন খোসা সহ ১০০-১৫০ গ্রাম আপেল খেলে হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা কম থাকে। আপেলে উচ্চ পরিমাণে পলিফেনল কোয়ারসেটিন থাকে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: