রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


চোখের পাপ থেকে মুক্ত থাকার উপায়


প্রকাশিত:
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪০

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ২৩:১৫

প্রতিকী ছবি

চোখ দিয়ে দেখেই কোনো কিছু্র প্রতি মানুষের আগ্রহ তৈরি হয়। তাই দৃষ্টিশক্তিকে ভালো কাজে ব্যবহার করা উচিত। কারণ, এর সঠিক ব্যবহার না হলে তা বড় বড় পাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে। যেসব জিনিস দেখলে দুনিয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা এবং পরকালে শাস্তি রয়েছে সেদিকে দৃষ্টিপাত থেকে বেঁচে থাকা উচিত।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের চোখকে নিচু করে রাখ এবং লজ্জাস্থানের হেফজত করো।’ (মুসনাদে আহমাদ, মুসতাদরাকে হাকেম, ইবনে হিব্বান, বায়হাকি)

ইমাম কুরতবী রহ. বলেন, চোখ অন্তরে কোনো কিছু প্রবেশের বড় দরজা। চোখের কারণেই মানুষের পদস্খলনটি বেশি হয়। ফলে চোখ থেকে অধিক সতর্ক হতে হবে। নিষিদ্ধ বস্তু ও ফিতনার আশঙ্কা থাকে এমন সব বস্তুর দিকে তাকানো থেকে চোখকে অবনত রাখতে হবে। চোখ অবনত রাখার অর্থ, একজন মুসলিম নিষিদ্ধ বস্তুর দিকে তাকানো থেকে বিরত থাকবে, সে শুধু বৈধ বিষয়গুলো দেখবে। আর যদি অনিচ্ছায় কোনো নিষিদ্ধ বস্তুর দিকে নজর পড়ে যায়, তবে সাথে সাথে তা ফিরিয়ে নেবে। দৃষ্টিকে দীর্ঘায়িত করবে না।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বলেছেন, ‘হে আলী! (হঠাৎ) দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার পর আবার দ্বিতীয়বার তাকিয়ো না। কারণ, (হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত পড়ে যাওয়া) প্রথম দৃষ্টি তোমাকে ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না। (তিরমিজি, হাদিস, ২৭৭৭)

প্রবৃত্তির অনুসরণ করে নিষিদ্ধ ও হারাম জিনিস দেখলে পরকালে চোখই আল্লাহ তায়ালার দরবারে নালিশ করবে। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তাদের কান, তাদের চোখ, তাদের ত্বক তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে সাক্ষী দিবে তাদের বিরুদ্ধে। (সুরা হা-মীম আস সাজদাহ, আয়াত, ২০)

দৃষ্টির গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার উপায় বলে দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে, বর্ণিত হয়েছে, ‘মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।’ (সূরা নূর, আয়াত, ৩০)

এছাড়াও চোখের পাপ থেকে বাঁচতে হলে আরও কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে

>>পুরুষের জন্য গায়রে মাহরাম নারীর দিকে না তাকানো।
>>নারীর জন্য গায়রে মাহরাম পুরুষের দিকে না তাকানো ।
>> গঠন-আকৃতিতে আকর্ষণীয় নাবালিকা মেয়েদের দিকে তাকানো থেকেও বিরত থাকতে হবে।
>> দাড়িহীন কমনীয় বালকের প্রতি দৃষ্টিপাত থেকেও বাঁচতে হবে।
>> অসৎ সঙ্গ থেকে দূরে থাকো । (সহিহ বুখারী)
>> সামর্থ্য থাকলে দ্রুত বিবাহ করা, না হয়, রোযা রাখা। (সহিহ বুখারী)
>> পূর্ণ মনোযোগের সঙ্গে নামাজ আদায় করা । কারণ, নামাজ মানুষকে যাবতীয় গুনাহ থেকে দূরে রাখে।
>> সব সময় অশালীন কথা ও কাজ হয়ে থাকে এমন স্থান পরিহার করা। (সহিহ বুখারী)
>> কোনো কিছু দেখার সময় আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করা ।
>> মন্দ কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে ইস্তিগফার পড়া।
>> সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যেকটি দৃষ্টি সম্পর্কে কিয়ামতের দিন আমাকে প্রশ্ন করা হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top