বুধবার, ২৬শে জুন ২০২৪, ১১ই আষাঢ় ১৪৩১


মসজিদুল হারাম ও নববীতে ঈদুল আজহার নামাজ পড়াবেন যারা


প্রকাশিত:
৯ জুন ২০২৪ ০৮:৫৮

আপডেট:
২৬ জুন ২০২৪ ০৪:৪৭

ফাইল ছবি

আগামী ১৬ জুন, ১০ জিলহজ ঈদুল আজহা পালন করা হবে সৌদি আরবে। এর দু’দিন আগে ১৪ জুন, ৮ জিলহজ (শুক্রবার) থেকে শুরু হবে পবিত্র হজ। সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ এবং সারা বিশ্ব থেকে দেশটিতে জড়ো হওয়া হজযাত্রীরা এই দিন থেকে হজের যাবতীয় আমল শুরু করবেন।

১০ জিলহজ মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। এরপর দমে শোকর, তাওয়াফ, মাথা মুণ্ডানোসহ হজের অন্যান্য আমল ধারাবাহিকভাবে পালন করবেন তারা। এদিনই ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে দেশটিতে।

এদিন সৌদি আরবের পবিত্র দুই মসজিদ, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বের বৃহত্তর ঈদের জামাত। মসজিদুল হারামে ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন হারামাইন শরিফাইনের পরিচালনা পর্ষদ ও ধর্মীয় বিষয়ক প্রধান শায়েখ ড. আব্দুর রহমান আস-সুদাইস।

একই দিনে মদিনার মসজিদুল হারামে ঈদুল আজহার নামাজে ইমামতি করবেন ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. খালিদ আল মুহান্না।

এছাড়া এবার আরাফার ময়দানে মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের আরেক ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি। মসজিদুল হারামের তথ্য ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইনসাইট দ্য হারামাইন থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলির প্রদত্ত আরবি খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন সৌদি আরবে অধ্যয়নরত চার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। তারা দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।

তারা হলেন মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী ও মুবিনুর রহমান ফারুক এবং জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজমুস সাকিব। গত বছরও খুতবার অনুবাদ করেছিলেন এই চার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী।

ঈদুল আজহার নামাজ যেভাবে পড়বেন

বছরে দুই ঈদ। ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। বিশ্বের মুসলিমদের সবচেয়ে বড় আনন্দ ও উৎসবের দিন। ঈদ অনেক বড় ইবাদত ও আমল। জ্ঞাতব্য যে, দুই ঈদের নামাজ একই ধরনের ও নিয়মের। ঈদের নামাজ দুই রাকাত এবং তা ওয়াজিব।

ঈদের নামাজে আজান-ইকামত নেই। যাদের ওপর জুমার নামাজ ওয়াজিব, তাদের ওপর ঈদের নামাজও ওয়াজিব। ঈদের নামাজ ময়দানে পড়া উত্তম। তবে মক্কাবাসীর জন্য মসজিদে হারামে উত্তম। শহরের মসজিদগুলোতেও ঈদের নামাজ জায়েজ আছে।৮৮)।

ঈদের নামাজের সময়

সূর্য উদিত হয়ে এক বর্শা (অর্ধ হাত) পরিমাণ উঁচু হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত বাকি থাকে। তবে ঈদুল ফিতরের নামাজ একটু দেরিতে পড়া সুন্নত; যেন নামাজের আগেই বেশি থেকে বেশি সদকাতুল ফিতর আদায় হয়ে যায়।

ঈদের নামাজের নিয়ত

নিয়ত অর্থ মনের ইচ্ছা। কাজেই মুখে উচ্চারণ করার কোনো প্রয়োজন নেই। মনে মনে নির্দিষ্ট করতে হবে যে আমি এ ঈদের নামাজ কিবলামুখী হয়ে এ ইমাম সাহেবের পেছনে অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সঙ্গে আদায় করছি।

ঈদের নামাজের ছয় তাকবির

ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির ওয়াজিব। প্রথম রাকাতে তাকবিরে তাহরিমা ও ‘ছানা’র পর তিন তাকবির। দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর রুকুতে যাওয়ার আগে তিন তাকবির। এ তাকবিরগুলো বলার সময় ইমাম-মুকতাদি সবাইকে হাত উঠাতে হবে। তৃতীয় তাকবির ছাড়া প্রত্যেক তাকবিরের পর হাত ছেড়ে দিতে হবে।

কেউ যদি এ তাকবিরগুলো না পায়, তাহলে সে রুকুতে থাকা অবস্থায় আদায় করে নেবে। কারো পূর্ণ এক রাকাত ছুটে গেলে সে দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর তাকবিরগুলো আদায় করে নেবে। কেরাতের আগে আদায় করারও সুযোগ রয়েছে। নামাজ শেষে খুতবা প্রদান ইমামের জন্য সুন্নত; তা শ্রবণ করা নামাজির জন্য ওয়াজিব।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top