মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১


ইন্তিকালের আগে সাহাবিদের যে উপদেশ দিয়েছেন মহানবী সা.


প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৩

আপডেট:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:২৭

প্রতীকী ছবি

ইন্তিকালের আগে বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। অসুস্থতা বেড়ে গেলে তিনি স্ত্রীদের অনুমতি নিয়ে আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা রা.-এর ঘরে জীবনের শেষ সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন।

স্থানান্তরের সময় হজরত ফজল ইবনে আব্বাস এবং আলী রা. প্রিয় নবীকে ভর দিয়ে নিয়ে গেলেন। নবীজি সা.-এর মাথায় পট্টি বাঁধা, পবিত্র চরণযুগল মাটিতে হেঁচড়ে যাচ্ছিল।

হজরত আয়েশা রা. রাসূল সা.-এর কাছে শেখা দোয়াগুলো পড়তেন, নবীজি সা.-এর পবিত্র দেহে ফুঁ দিতেন এবং বরকতের আশায় নিজের শরীরে হাত ফেরাতেন।

ওফাতের পাঁচদিন আগে রাসূল সা.-এর অসুস্থতা বেড়ে গেল। তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। এ সময় তার শরীরের তাপ কমাতে পানি ঢালা হলো। তিনি কিছুটা সুস্থতা বোধ করলেন এবং মসজিদে গেলেন। মাথায় পট্টি বাঁধা ছিল। তিনি মিম্বরে আরোহন করে সাহাবিদের উদ্দেশ্য কিছু নসিহত করলেন।

তিনি বললেন-

ইহুদি-নাসারাদের ওপর আল্লাহর লানত, কারণ, তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে। তিনি আরও বলেন, তোমরা আমার কবরকে পূজা করার জন্য মূর্তিতে পরিণত করো না।

এরপর রাসূল সা. বলেন, আমি যদি কাউকে আঘাত করে থাকি তাহলে আমি আমার পিঠ এগিয়ে দিচ্ছি, কারো বদলা নেওয়ার থাকলে সে যেন বদলা নিয়ে নেয়। যদি কাউকে অসম্মান করে থাকি, তাহলে সে যেন আমার কাছ থেকে বদলা গ্রহণ করে।

এরপর রাসূল সা. মিম্বরের ওপর থেকে নিচে নেমে এলেন, জোহরের নামাজ পড়ালেন। তারপর মিম্বরে বসে আবারো নসিহত করলেন সাহাবিদের।

এ সময় এক ব্যক্তি বললেন, আমি আপনার কাছে তিন দেরহাম পাওনা আছি। রাসূল সা. ফজল ইবনে আব্বাস রা.-কে সেই ঋণ পরিশোধের আদেশ দিলেন।

(আর-রাহীকুল মাখতুম, ৪৯০)



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top