ওমরা করার জন্য মক্কায় কত দিন থাকতে হয়?
প্রকাশিত:
২৩ মার্চ ২০২৫ ১৪:০৬
আপডেট:
২৭ মার্চ ২০২৫ ০৩:৫৩

ছবি সংগৃহীত
ওমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্য থাকলে জীবনে একবার ওমরা করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটি পুরুষ ও মহিলা সবার জন্য প্রযোজ্য। ওমরা সম্পর্কে কোরআনে কারিমে রয়েছে, ‘নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনাবলীর একটি; তাই যারা হজ করবে বা ওমরা করবে, তারা এ দুটি প্রদক্ষিণ (সাঈ) করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৫৮)
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারিম (স.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘ওমরা কি ওয়াজিব?’ তিনি বলেছেন, ‘না, ওমরা করা তোমার জন্য উত্তম।’ (দারাকুতনি: ২৭২৪)
সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য একাধিক ওমরা করতে অসুবিধা নেই। তবে ফরজ হজ বাদ দিয়ে বারবার ওমরা করা অনুচিত।
ওমরা হলো নির্দিষ্ট কাজের সমন্বয়। পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফসহ নির্দিষ্ট কিছু কাজ করাকে ওমরা বলে। এর জন্য নির্দিষ্ট সময় নেই। ওমরার জন্য ৫ দিন বা ১০ দিন থাকা জরুরি—এরকম কোনো বিধান নেই। ওমরার কাজ শেষ, আপনার ওমরাও শেষ।
শুধু হজের মৌসুমে বা জিলহজ মাসের ৯-১৩ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন ওমরা করা মাকরুহ। বাকি যেকোনো সময় ওমরা করা যায়। ওমরা শব্দের অর্থ জিয়ারত করা, পরিদর্শন করা ও সাক্ষাৎ করা। ওমরা পালনে প্রধানত ৪টি কাজ করতে হয়। এর মধ্যে দুইটি কাজ ফরজ— ১. ইহরাম পরিধান করা। ২. পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করা। আর দুইটি কাজ ওয়াজিব— ১. সাফা ও মারওয়া সাতবার সাঈ করা। ২. মাথার চুল মুণ্ডানো বা ছোট করা।
এখন চলছে রমজান মাস। পুরো বছরের মধ্যে এই মাসেই ওমরা করা সর্বোত্তম। নবী কারিম (স.) বলেছেন, রমজানে একটি ওমরা করা আমার সাথে একটি হজ করার সমতুল্য। (সহিহ বুখারি: ১৮৬৩)
ওমরার ফজিলত বিস্ময়কর। এক হাদিসে নবী কারিম (স.) ইরশাদ করেন, ‘এক ওমরার পর আরেক ওমরা, উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারা। আর জান্নাতই হজে মাবরুরের একমাত্র প্রতিদান।’ (সহিহ মুসলিম: ১৩৪৯)
রাসুলুল্লাহ (স.) আরও বলেছেন- ‘হজ ও ওমরাকারীগণ আল্লাহর প্রতিনিধি দল। তারা দোয়া করলে তাদের দোয়া কবুল করা হয় এবং তারা কিছু চাইলে তাদেরকে তা দেওয়া হয়।’ (মুসনাদে বাজজার: ১১৫৩; মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ৫২৮৮; তবারানি: ১৭২১)
অন্য বর্ণনায় নবীজি বলেছেন, তোমরা ধারাবাহিক হজ ও ওমরা আদায় করতে থাকো। এ দুটি আমল দারিদ্র্য ও গুনাহ বিদূরিত করে দেয়। যেমন—ভাটার আগুনে লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা-জং দূরীভূত হয়ে থাকে। (তিরমিজি: ৮১০)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: