বুধবার, ২৬শে মার্চ ২০২৫, ১২ই চৈত্র ১৪৩১


খতম তারাবির জন্য অন্য মসজিদে গেলে ইতিকাফ ভাঙবে?


প্রকাশিত:
২৫ মার্চ ২০২৫ ১২:২৫

আপডেট:
২৬ মার্চ ২০২৫ ১৬:২২

ছবি সংগৃহীত

রমজান মাসের শেষ দশকের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ইতিকাফ। ইতিকাফ পালন করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। কোনো এলাকার কেউ একজন আদায় করলেও সবাই দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাবে। আর কেউ আদায় না করলে সবাই গুনাহগার হবে।

ইতিকাফের পুরোটা সময় আমল ইবাদতে কাটানো উচিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—

‘মনে কর সেই সময়কে, যখন আমি কাবা ঘরকে মানুষের মিলনক্ষেত্র ও আশ্রয়স্থল করেছিলাম। আর আমি বলেছিলাম, তোমরা ইব্রাহিমের দাঁড়ানোর জায়গাকেই নামাজের জায়গারূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করি; তোমরা আমার ঘরকে পবিত্র রাখবে, তাদের জন্য যারা এটা প্রদক্ষিণ করবে, এখানে বসে ইতিকাফ করবে এবং এখানে রুকু ও সিজদা করবে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)।

ইতিকাফের পুরো সময় মসজিদে অবস্থান করতে হয়। এ সময় প্রাকৃতিক ও আবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ নয়। কেউ বের হলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে

أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ وَإِنْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيُدْخِلُ عَلَيَّ رَأْسَهُ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ فَأُرَجِّلُهُ وَكَانَ لاَ يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلاَّ لِحَاجَةٍ إِذَا كَانَ مُعْتَكِفًا

নবী সহধর্মিণী আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) মসজিদে থাকাবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ইতিকাফে থাকতেন তখন (প্রাকৃতিক) প্রয়োজন ব্যতীত ঘরে প্রবেশ করতেন না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০২৯)

কোনো মসজিদে যদি খতম তারাবির আয়োজন না থাকে তাহলে খতম তারাবি পড়ার জন্য পাশের মসজিদে যাওয়া যাবে না। কারণ, খতম তারাবি পড়া প্রাকৃতিক ও আবশ্যকীয় কোনো প্রয়োজন নয় তাই তারাবির জন্য বের হলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top