স্বামীর টাকায় ফরজ হজ আদায় করা যাবে?
প্রকাশিত:
২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:২৪
আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৫ ০২:০৪

মক্কায় গিয়ে হজকার্য সম্পন্ন করে ফিরে আসার সামর্থ্য রাখে, এমন প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ। তবে নারীদের জন্য স্বামী বা মাহরাম পুরুষ সঙ্গে থাকা শর্ত।
হজের ফজিলত নিয়ে এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন- ‘এক উমরা আরেক উমরা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহর ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়। আর হজে মাবরূরের প্রতিদান তো জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৭৭৩; সহিহ মুসলিম: ১৩৪৯)
আরেক হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করে এবং অশ্লীল ও গুনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। আর মকবুল হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই নয়।’ (বুখারি)
সামর্থ থাকার পরও হজ না করার পরিণাম ভয়াবহ। ফরজ হজ ত্যাগ করলে ইহুদি-নাসারার মতো মৃত্যু হবে বলে হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করার সামর্থ্য রাখে, তবুও হজ করে না, সে ইহুদি হয়ে মৃত্যুবরণ করল কি খ্রিস্টান হয়ে, তার কোনো পরোয়া আল্লাহর নেই।’ (ইবনে কাসির : ১/৫৭৮)
নারী পুরুষ সবার জন্য হজ ফরজ। নারীদের উপর হজ ফরজ হবার জন্য শর্ত হলো, হজে যাওয়া আসা এবং সেখানে অবস্থানের খরচসহ মাহরামেরও হজে যাওয়া আসার খরচের মালিক হওয়া। স্বামীর সম্পদ থাকলেই স্ত্রীর উপর হজ ফরজ হয়ে যায় না। বরং স্ত্রীর নিজস্ব সম্পদ হজ করার পরিমাণ হতে হবে।
একজন নারী মোহরানা বাবদ বা যেকোন হালাল পন্থায়ই হজ করতে পারার মতো সম্পদের মালিক হলে তার ওপর হজ করা ফরজ।
হজ ফরজ হবার পর তিনি নিজের টাকায় হজ করতে পারবেন। আর স্বামী যদি নিজের খরচ দিয়ে হজ করায়, তাহলেও স্ত্রীর ফরজ হজ আদায় হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার, ১৬)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: