সোমবার, ২রা জুন ২০২৫, ১৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


কোরবানির চামড়ার টাকা কী করবেন?


প্রকাশিত:
৩১ মে ২০২৫ ১৭:২৪

আপডেট:
২ জুন ২০২৫ ১০:১৩

ছবি সংগৃহীত

সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর কোরবানি আদায় করা ওয়াজিব। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী—যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের ভেতরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে; তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।

অর্থ-কড়ি, টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, গহনা-অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির অতিরিক্ত জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নেসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি। আর টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো- এগুলোর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া (টাকার অংকে প্রায় ৫৫ হাজার টাকা)।

আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও কোরবানি করা ওয়াজিব।

কোরবানি করার পর কোরবানির পশুর চামড়া কোরবানিদাতা নিজেই ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তিনি নিজে তা ব্যবহার না করে বিক্রি করে দিলে সেই অর্থ নিজে ব্যবহার করতে পারবেন না। বরং কোরবানির চমড়া বিক্রি করলে এর অর্থ জাকাতের উপযুক্ত গরিব-মিসকিনদের নিঃস্বার্থ মালিকানায় দিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। এর অর্থ অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। অন্য কোনো খাতে ব্যয় করলে গুনাহ হবে।

কোরবানির পশুর চামড়ার টাকা উন্নয়নমূলক কাজ, রাস্তাঘাট মেরামত বা অন্য কোনো কাজে ব্যয় করা যাবে না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top