হাজিরা একে অপরের চুল কেটে দিতে পারবেন?
প্রকাশিত:
১ জুন ২০২৫ ১৬:১০
আপডেট:
৩ জুন ২০২৫ ০৫:২৯

মাথার চুল মুণ্ডন বা চুল কাটা হজ ও ওমরাহর ওয়াজিব বিধান। কারণ, মাথার চুল মুণ্ডন বা কর্তন ছাড়া ইহরামের নিষেধাজ্ঞাগুলো শেষ হয় না। ওমরাহতে মাথা মুন্ডন করতে হয় সায়ি করার পর, আর হজে কোরবানির পর মিনায়।
হজ ও ওমরাতে মাথা মুণ্ডন বা ছাঁটা— উভয়টির যেকোনো একটি করা যায়। তবে হজে মাথা মুণ্ডন করা উত্তম।
হজ ও ওমরায় মাথা মুণ্ডনকে ছাঁটান অপেক্ষা উত্তম বলা হয়েছে। এমনকি মাথা মুণ্ডনকারীর জন্য বিশেষভাবে তিনবার দোয়া করা হয়েছে। তাই হাজীদের জন্য মাথা মুণ্ডনই উত্তম। নবীজি (সা.) স্বয়ং মাথা মুণ্ডনকে পছন্দ করতেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন—
হে আল্লাহ! তুমি অনুগ্রহ কর যারা মাথা মুণ্ডন করেছে তাদের প্রতি। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! যারা মাথা ছাঁটিয়েছে তাদের প্রতিও? রাসুল বললেন, হে আল্লাহ! তুমি অনুগ্রহ কর যারা মাথা মুন্ডন করেছে তাদের প্রতি। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! যারা মাথা ছাঁটিয়েছে তাদের প্রতিও? তৃতীয়বার রাসুল (সা.) বললেন, যারা মাথা ছাঁটিয়েছে তাদের প্রতিও।’ (বুখারি, হাদিস : ১৭৫৪; মুসলিম, হাদিস : ৩২০৫)
হাজিরা মাথা মুণ্ডন করেন জামারায় পাথর নিক্ষেপের পর। ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনায় গিয়ে তিনটি স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয় হাজিদের—১. জামারাতুল আকাবা (শেষ জামারা) ২. জামারাতুল উস্তা (মধ্যম জামারা) এবং ৩. জামারাতুল উলা (প্রথম জামারা)।
পাথর নিক্ষেপ শেষ মাথা মুণ্ডন করা হয়। সাধারণত হাজিদের চুল কাটানোর জন্য নির্ধারিত ব্যক্তি থাকেন। তারাই হাজিদের চুল কেটে দেন। তবে জামারাতুল আকাবায় (শেষ জামারা) পাথর নিক্ষেপের পর হাজিরা চাইলে নিজেরাই একে অপরের চুল কেটে দিতে পারবেন। এর আগে নয়।
ইবনে জুরাইজ (রহ.) বলেন, আমি আতা (রহ.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, এক ব্যক্তি জামরা আকাবায় রমী (কঙ্কর নিক্ষেপ) করেছে কিন্তু এখনো চুল মুণ্ডন করেনি। সে কি অন্যের চুল কামিয়ে দিতে পারবে? তিনি বললেন, হাঁ, পারবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ১৬১৩৯)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: