মঙ্গলবার, ৩রা জুন ২০২৫, ২০শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


শয়তানকে মারা পাথর সঠিক জায়গায় পড়ছে কি না সন্দেহ হলে করণীয়


প্রকাশিত:
১ জুন ২০২৫ ১৮:০৯

আপডেট:
৩ জুন ২০২৫ ০৯:০৩

ছবি সংগৃহীত

হজের সময় হাজিরা শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করেন। এই পাথর নিক্ষেপ মূলত খলিলুল্লাহ হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর প্রতীকী আমল হিসেবে পালন করেন বর্তমান হাজিরা।

ইব্রাহিম (আ.) যখন শিশুপুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে কোরবানি করতে নিয়ে যাচ্ছিলেন, শয়তান কুমন্ত্রণা দিচ্ছিল যেন কোরবানি বাধাগ্রস্ত হয়। তখন ইব্রাহিম (আ.) তিন স্থানে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করে বিতাড়িত করেছিলেন।

স্মৃতিবিজড়িত সেই ঘটনাকে চিরজাগ্রত রাখার জন্য কঙ্কর নিক্ষেপকে হজের বিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

হজের বিধান অনুযায়ী শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনায় গিয়ে তিনটি স্থানে পাথর নিক্ষেপ করতে হয়—১. জামারাতুল আকাবা (শেষ জামারা) ২. জামারাতুল উস্তা (মধ্যম জামারা) এবং ৩. জামারাতুল উলা (প্রথম জামারা)।

জামারাতুল আকাবা মক্কার দিকে মসজিদুল খাইফের সর্ব নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত। একে জামারাতুল উখরা ও কুবরাও বলা হয়। ১০ জিলহজ এখানে তাকবির বলতে বলতে সাতটি পাথর নিক্ষেপ করে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতে হয়। কাবাঘর বাঁ দিকে ও মিনা ডান দিকে রেখে দাঁড়ানো সুন্নত। অন্য দুই জামারায় এদিন পাথর নিক্ষেপ করতে নেই।

১১ তারিখে তিন জামারায় (প্রথমে ছোট, এরপর মধ্যম এবং সব শেষে বড় জামারায়) ৭–৩=২১টি পাথর মারতে হয়। ১২ তারিখেও অনুরূপ তিন জায়গায় ২১টি পাথর মারতে হয়। তিন দিনে সর্বমোট ৭+২১+২১=৪৯টি পাথর মারতে হয়।

পাথরগুলো সঠিক জায়গায় নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। তবে সেগুলো সঠিক জায়গায় পড়েছে কি না এ ব্যাপারে সন্দেহ হলে দ্বিতীয় বার পাথর নিক্ষেপ করা উত্তম। তবে এমন সন্দেহের কারণে মূল হজের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top