সূরা মায়েদায় যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে
প্রকাশিত:
১৮ জুন ২০২৫ ১৭:২১
আপডেট:
১৮ জুন ২০২৫ ২১:৫৬

পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদায় আল্লাহ তায়ালা ইহুদি এবং খৃষ্টানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করার নির্দেশ দিয়েছেন। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখবে তাদের জন্য কঠিন শাস্তির কথাও ঘোষণা করা হয়েছে যে, তারা তদেরই দলভুক্ত বলে গণ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে—
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوا الۡیَهُوۡدَ وَ النَّصٰرٰۤی اَوۡلِیَآءَ ۘؔ بَعۡضُهُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَلَّهُمۡ مِّنۡكُمۡ فَاِنَّهٗ مِنۡهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهۡدِی الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ
হে ঈমানদারগণ! ইহুদি ও খৃষ্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন গণ্য হবে। নিশ্চয় আল্লাহ অত্যাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (সূরা মায়েদা, আয়াত : ৫১)
আল্লামা শানকীতী বলেন, বিভিন্ন আয়াত থেকে এটাই বুঝা যায় যে, কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারটি ওই সময়ই হবে, যখন ব্যক্তির সেখানে ইচ্ছা বা এখতিয়ার থাকবে। কিন্তু যখন ভয়-ভীতি বা সমস্যা থাকবে, তখন তাদের সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কস্থাপনের অনুমতি ইসলাম শর্তসাপেক্ষে দিয়েছে। তা হচ্ছে, যতটুকু করলে তাদের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রেও আন্তরিক বন্ধুত্ব থাকতে পারবে না।
কোরআনের অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
لَا یَتَّخِذِ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الۡكٰفِرِیۡنَ اَوۡلِیَآءَ مِنۡ دُوۡنِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِكَ فَلَیۡسَ مِنَ اللّٰهِ فِیۡ شَیۡءٍ اِلَّاۤ اَنۡ تَتَّقُوۡا مِنۡهُمۡ تُقٰىۃً ؕ وَ یُحَذِّرُكُمُ اللّٰهُ نَفۡسَهٗ ؕ وَ اِلَی اللّٰهِ الۡمَصِیۡرُ
মুমিনরা যেন মুমিনদের ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধু না বানায়। আর যে কেউ এরূপ করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তবে যদি তাদের পক্ষ থেকে তোমাদের কোন ভয়ের আশঙ্কা থাকে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তার নিজের ব্যাপারে সতর্ক করছেন এবং আল্লাহর নিকটই প্রত্যাবর্তন। (সূরা আল ইমরান, আয়াত : ২৮)
কোন কাফেরের সাথে আন্তরিক বন্ধুত্ব ও ভালবাসা কোন অবস্থাতেই জায়েজ নয়। এ আয়াতে কাফেরদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, মুসলিমদের কোন ব্যাপারে সাহায্য-সহযোগিতার চুক্তি করার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, যে কেউ সেটা করবে তার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহর দ্বীনে তার কোন অংশ থাকবে না।
কারণ, কাফেরদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঈমানের সাথে একত্রিতভাবে থাকতে পারে না। ঈমান তো শুধু আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধু মুমিনদের সাথে সম্পর্ক রাখতে বলে যারা আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে এবং আল্লাহর শক্ৰদের সাথে জিহাদ করে। আল্লাহ বলেন, আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীরা তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। (সূরা আত-তাওবা, আয়াত : ৭১)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: