এমন দুর্ভাগ্যের রেকর্ড ক্রিকেট বিশ্বে নেই আর কারোরই
প্রকাশিত:
৬ মার্চ ২০২৫ ১২:২৪
আপডেট:
৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:০২

আরও একটাবার দলের বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে গেলেন ডেভিড মিলার। তবে মিল ওই এক জায়গায়। বরাবরের মতোই ব্যর্থ হলো তার দল। চোকার্স তকমাটা মোছা গেল না দক্ষিণ আফ্রিকার পাশ থেকে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতির শতক হাঁকিয়েও তাই ডেভিড মিলার হয়ে গেলেন উপন্যাসের ট্র্যাজিক হিরো।
নিউজিল্যান্ডের দেয়া ৩৬৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা থামল ৫০ রান আগে। আর তাতে বৃথা গেল ডেভিড মিলারের ৬৭ বলে ১০০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটা। ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালেও ছিল তার দুর্দান্ত এক শতক। সেবারেও হারের কষ্টটাই সঙ্গী হয়েছিল মিলারের।
আর এখানেই দুর্ভাগ্যের এক বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ডেভিড মিলার। আইসিসির ওয়ানডে ইভেন্টে নকআউট ম্যাচে দুবার সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। আর দুইবারেই হেরেছে দল। আর কোনো ক্রিকেটারের দুইবার সেঞ্চুরি করে, দুইবারই বিদায় নেয়ার ভাগ্যবরণ করতে হয়নি।
অবশ্য দুর্ভাগ্য বিবেচনায় ডেভিড মিলার পাশে পাচ্ছেন শ্রীলঙ্কান গ্রেট সনাৎ জয়সুরিয়াকে। আইসিসি ইভেন্টে নকআউট ম্যাচে দল হেরে গেলেও ৩বার করে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন জয়সুরিয়া এবং মিলার। পুরো দলের সাপেক্ষে এমন দুর্ভাগা রেকর্ড কেবল এই দুজনেরই।
অবশ্য ক্রিকেটের এই মঞ্চে ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করে অন্য রেকর্ডও জুটেছে ডেভিড মিলারের। আইসিসির নকআউট পর্বের ম্যাচে কমপক্ষে ৩০০ রান করেছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গড় প্রোটিয়া এই ব্যাটারের। গতকালের ইনিংসের পর নকআউট ম্যাচে তার গড় ১৫৩! এরপরেই আছেন পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার। তার গড় ১২৮.৩৩। আর কোনো ব্যাটারেরই ১০০ এর বেশি গড় নেই এই মঞ্চে।
গতকালের সেঞ্চুরিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরিটাও নিজের করে নিয়েছেন মিলার। পেছনে ফেলেছেন জশ ইংলিশ এবং বীরেন্দ্রর শেবাগকে। চলতি আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা জশ ইংলিশ করেছিলেন ৭৭ বলে সেঞ্চুরি। আর শেবার তার সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলেন ২০০২ আসরে, ইংল্যান্ডেরই বিপক্ষে।
এছাড়া ৩৫ বছর বয়সে সেঞ্চুরি করে ২য় জ্যেষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মিলার। তবে এমন সেঞ্চুরিটা বৃথাই গিয়েছে তার জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিদায় করে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: