শুক্রবার, ১১ই জুলাই ২০২৫, ২৭শে আষাঢ় ১৪৩২


কারামুক্ত হয়েই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২ কোটি ডলারের মামলা ফিলিস্তিনপন্থির


প্রকাশিত:
১১ জুলাই ২০২৫ ১৯:৪৪

আপডেট:
১১ জুলাই ২০২৫ ২২:৪৯

ছবি সংগৃহীত

সম্প্রতি লুইজিয়ানার একটি অভিবাসন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ফিলিস্তিনি অ্যাকটিভিস্ট মাহমুদ খলিল। কারামুক্ত হয়েই ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছেন। তার অভিযোগ, তাকে মিথ্যা অভিযোগে কারারুদ্ধ করা হয়েছে, বিদ্বেষমূলকভাবে বিচার করা হয়েছে এবং ইহুদি-বিদ্বেষী হিসেবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণে সরকার তাকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করেছে।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ বছর বয়সি এই সাবেক স্নাতক ১০ সপ্তাহের পুত্র সন্তান দীনকে কোলে নিয়ে সেই কঠিন রাতের কথা স্মরণ করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি সন্তান ভূমিষ্ঠের সংবাদ পাওয়ার অপেক্ষায় শীতল কারাগারে প্রহর গুনছিলেন। খলিল বলেন, সেই রাতের যন্ত্রণা আমি বর্ণনা করতে পারব না। এটা এমন কিছু যা আমি কখনো ক্ষমা করব না।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মাহমুদ খলিলের আইনজীবীরা ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন। খলিল জানান, তার লক্ষ্য হলো একটি বার্তা পাঠানো যে, তাকে চুপ করিয়ে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, তারা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কারণ তারা মনে করে তাদের কেউ আটকাতে পারবে না।

খলিল আরও জানান, যদি তিনি কোনো ক্ষতিপূরণের অর্থ পান, তবে সেই অর্থ ট্রাম্প প্রশাসনের ফিলিস্তিনপন্থিদের দমনে ‘ব্যর্থ’ প্রচেষ্টার ভুক্তভোগী অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেবেন। তিনি একটি আনুষ্ঠানিক ক্ষমা এবং প্রশাসনের নির্বাসন নীতিতে পরিবর্তনেরও দাবি করেছেন।

ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একজন মুখপাত্র খলিলের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন। তারা বলছেন, খলিলের ‘ঘৃণামূলক আচরণ ও বক্তব্য’ ইহুদি শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকি ছিল। তবে খলিল গ্রেফতারের আগে এবং পরেও ইহুদি-বিদ্বেষের নিন্দা করেছেন। তাকে আটক করে রাখা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি। হামাস বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে এমন অভিযোগও সরকার আনেনি।

মাহমুদ খলিল জানান, গত ৮ মার্চ তাকে ‘কার্যত অপহরণ’ করা হয়েছিল। ওই সময় তিনি তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাকে কোনো পরোয়ানা দেখানো হয়নি। পরে ফেডারেল এজেন্টরা জেনে বিস্মিত হয়েছিলেন যে, তিনি আমেরিকার একজন বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা। এরপর তাকে লুইজিয়ানার জেনা-তে একটি অভিবাসন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়টি তার পরিবার ও আইনজীবীদের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল। কারাবাসের সময় তাকে আলসারের ওষুধ দেওয়া হয়নি। তীব্র ফ্লুরোসেন্ট আলোর নিচে ঘুমাতে বাধ্য করা হয়েছে এবং ‘প্রায় অখাদ্য’ খাবার দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তিনি ১৫ পাউন্ড ওজন হারিয়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top