প্রযোজককে অপহরণ করে ২৩ লাখ টাকা নিয়েছেন নায়িকা পূজা!
প্রকাশিত:
১৫ জুন ২০২৫ ১৮:০৩
আপডেট:
১৬ জুন ২০২৫ ০৩:৪০

বলিউড ও টলিউডের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি এবং তার স্বামী কুণাল বর্মার বিরুদ্ধে বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতনামা প্রযোজক শ্যামসুন্দর দে-কে অপহরণ ও ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের অভিযোগ এনেছেন প্রযোজকের স্ত্রী মালবিকা দে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে মালবিকা দে এই বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেন। সেখানে তিনি লেখেন, “একটি পরিবারের জীবনে এরকম দুঃস্বপ্ন যেন আর কোনও দিন না নামে—এই আশায়, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে শেয়ার করছি এই হৃদয়বিদারক ঘটনার বিবরণ।”
পরিচালকের স্ত্রীর ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী, গত ৩১ মে ২০২৫—গোয়ায় ব্যবসায়িক সফরে থাকা অবস্থায় অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি, তার স্বামী কুণাল বর্মা এবং তাঁদের বন্ধু পীযূষ কোঠারির বিরুদ্ধে প্রযোজক শ্যামসুন্দর দে-কে অপহরণ ও ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ অনুযায়ী, শ্যামসুন্দর দে ভাড়া গাড়িতে যাওয়ার সময় আচমকাই পূজা ও তার সহযোগীরা গাড়ি থামিয়ে তাঁকে অপহরণ করেন। এরপর তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় এবং বলা হয়, যদি ৬৪ লাখ টাকা না দেন, তাহলে তাকে মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে।
কিভাবে আদায় করা হয় টাকা?
মালবিকার দাবি অনুযায়ী, ভয় দেখিয়ে শ্যামসুন্দর দে-কে তার ফোন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস দিতে বাধ্য করা হয়। সেই চাপে পড়েই প্রযোজক মোট ২৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এর মধ্যে কলকাতায় পূজার সহকারী মুনমুনের কাছে নগদ এবং পূজা ও কুণালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে RTGS ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, শ্যামের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে তাকে জোর করে ভিডিও রেকর্ড করানো হয় এবং মিথ্যা কাগজে সই করানো হয় যাতে দেখানো যায়, তিনি স্বেচ্ছায় গোয়ায় রয়েছেন। এমনকি তার ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড হ্যাক করে ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেল করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ।
গোয়া পুলিশের তৎপরতায়, SP (North Goa)-এর নেতৃত্বে সময়মতো অভিযান চালিয়ে শ্যামসুন্দর দে-কে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরপরই গোয়া পুলিশের কাছে পূজা, কুণাল ও পীযূষ কোঠারির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা: ১২৬(২), ১৩৭(২), ১৪০(২), ৩০৮(২), ১১৫(২), ৩৫১(৩), ৬১(২), ৩(৫)-এর আওতায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মালবিকার ফেসবুক পোস্টে এফআইআর-এর কপি, গোয়া পুলিশের অভিযোগের স্বীকৃতি, উদ্ধারের অনুরোধ সংক্রান্ত ইমেল, হুমকির অডিও ক্লিপ, হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশট, RTGS ও নগদ লেনদেনের রশিদসহ একাধিক প্রমাণ সংযুক্ত করেছেন।
তবে এই ঘটনায় পূজা ব্যানার্জি বা কুণাল বর্মার তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: