শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


ফ্রান্সকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ড


প্রকাশিত:
২৯ জুন ২০২১ ১৫:৩৮

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ১৬:১৭

ছবি-সংগৃহীত

ফুটবলভক্তদের জন্য সোমবার রাতটা ‘ঈদ আনন্দ’ বললে অত্যুক্তি হবে না। রোমাঞ্চের সব রঙ যেন ধরা দিল এক রাতেই। একদিনে ফুটবলবিশ্ব উপভোগ করল স্পেন-ক্রোয়েশিয়ার ৮ গোলের উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচ। এর তিন ঘণ্টা পরেই ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই দেখল তারা।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ম্যাচভাগ্য গড়াল টাইব্রেকারে। আর শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে কাঁদিয়ে জয়ের উল্লাসে মেতে উঠল সুইজারল্যান্ড। ‘খলনায়কে’ পরিণত হলেন বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি তরুণ কিলিয়ান এমবাপ্পে। আর ‘নায়কে’ সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সমের।

রুমানিয়ার বুখারেস্টে সোমবার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে নির্ধারিত সময় শেষে দেখা গেল স্কোরলাইন ৩-৩। এর পর অতিরিক্ত সময়ও ওই স্কোরলাইনে শেষ হয়। নকআউটপর্বে তো এমন অমীমাংসিত ম্যাচ অসমম্ভব। নির্ভর করতে হয় টাইব্রেকারে। যেখানে পেনাল্টি শুট আউটে ৫-৪ এ জিতে হাসি ফুটল সুইজারল্যান্ড সমর্থকদের মুখে। অঝরে কাঁদল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স সমর্থকরা।

এ এক অবিশ্বাস্য ঘটনার জন্ম দিল ইউরো-২০২০। ৬৭ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো মেজর টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল সুইজারল্যান্ড। ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে শেষ আটে খেলেছিল তারা। আর ইউরোর হিসেবে এবারই প্রথম নকআউট পর্বের প্রথম ধাপ পেরুল দলটি।

প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। হারিস সেফেরোভিচের নৈপুণ্যে গোলের দেখা পায় সুইসরা। বাঁ থেকে স্টিভেন জুবেরের দারুণ ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান সেফেরোভিচ।

আর প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়েও থাকলেও সমতায় ফিরতে পারেনি ফরাসিরা। গোলের উদ্দেশে নেওয়া তাদের ছয় শটের একটিও ছিল না লক্ষ্যে। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে ফ্রান্স।

৫২তম মিনিটে একটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে সুইজারল্যান্ড। পেনাল্টি মিস করে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি তারা।

ডি-বক্সের লাইনে জুবেরকে ডিফেন্ডার বাঁজামাঁ পাভার্দ ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে নেওয়া রিকার্দো রদ্রিগেসের দুর্বল কিক ঠেকিয়ে দেন ফরাসি গোলরক্ষক উগো লরিস।

এর পরই জেগে ওঠে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। অবিশ্বাস্যভাবে দুই মিনিটে ২ গোল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে লিড নেন করিম বেনজেমা।

৫৭তম মিনিটে এমবাপ্পের ডি-বক্সের মুখে বাড়ানো বল অসাধারণ দক্ষতায় বাঁ পায়ের ফ্লিকে বল সামনে টেনে নেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। দ্বিতীয় টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন। সমতায় ফেরে ফরাসিরা।

ওই গোলের দুই মিনিট পর ফের এমবাপ্পের ব্যাকহিলে বল ধরে গ্রিজমান দূরের পোস্টে ক্রস বাড়ান। আর লাফিয়ে মাথা ছুঁইয়ে হেডে জালের ঠিকানায় বল পাঠান বেনজেমা।

স্কোরলাইন গিয়ে দাঁড়ায় ২-১ এ। ৭৫তম মিনিটে অনেক দূর থেকে পল পগবার জোরালো শট ক্রসবার ঘেঁষে জালে জড়ায়। স্কোরলাইন ৩-১ করেন পগবা।

৮১তম মিনিটে সুইজারল্যান্ড দলের ফের ত্রাতা হয়ে আসেন সেফেরোভিচ। এবার কেভিনের দারুণ ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ব্যবধান কমান তিনি।

৩-২ স্কোরলাইনের খেলা শেষ হবে ভাবনার মধ্যে চমকে দেন সুইস তারকা গাভরানোভিচ।

নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-৩ করেন তিনি।

চার মিনিট যোগ করা সময়ে ফলাফল আনতে পারেনি দুই দলের কেউ। যদিও ১১০তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি আসতে পারত এমবাপ্পের পা থেকে। ডি-বক্সে দারুণ পজিশনে বল পেয়েও পাশের জালে মারেন পিএসজি ফরোয়ার্ড।

এমবাপ্পে এখানেই খলনায়কে পরিণত হননি, টাইব্রেকারে গোল না পেয়ে হতাশায় ডুবিয়েছেন গোটা ফ্রান্সকে। যেখানে নায়ক সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সমের।

টাইব্রেকারে সব আলো কেড়ে নেন ইয়ান সমের। সুইজারল্যান্ড তাদের প্রথম পাঁচ শটের সবকটিতেই সফল, ফ্রান্স সফল প্রথম চারটিতে। তাদের শেষ শট নিতে আসেন বিশ্বকাপজয়ী এমবাপ্পে। তার শটটিই ঠেকিয়ে দেন সমের। সুইজারল্যান্ডে নামে বাধভাঙ্গা উল্লাসের উৎসব।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top