বিকেএসপির ভর্তিতে স্বজনপ্রীতি হয়েছিল অতীতে!
প্রকাশিত:
১৭ জুন ২০২৫ ১৯:৩৮
আপডেট:
১৭ জুন ২০২৫ ২২:৫৮

দেশীয় ক্রীড়াঙ্গনের আঁতুড়ঘর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। এখান থেকেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, এশিয়ান হকির অন্যতম সুপারস্টার রাসেল মাহমুদ জিমি, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম ও জাহিদ হাসান এমিলির মতো ফুটবলার উঠে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেই মানের খেলোয়াড়ের সংখ্যা খানিকটা কমছে বিকেএসপি থেকে।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) বিকেএসপি তাদের ২১ ডিসিপ্লিনের ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বসেছিল। সভা শেষে বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তখন জাতীয়-আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় সরবরাহ কম হওয়ার প্রশ্ন হলে তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে বলব– ইনপুট যেমন আউটপুটও তেমন। যদি আমি বিকেএসপির প্লেয়ার সিলেকশনের সময় আপনার রিকোয়েস্ট শুনে কেউ আমার আত্নীয়, কেউ আমার বাড়ির পেছনে তাদের নিয়ে যদি আমি ৪০ শতাংশ সিলেকশনটা অনুরোধ নিয়ে আসি। তাহলে আমার কোচদের ৬-৭ বছর হ্যামারিং করেও ওই খেলোয়াড়দের আমি জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আনতে পারব না। যেটা করতে পারব সেটা হচ্ছে– ভাড়াটে খেলোয়াড়, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ক্ষ্যাপ খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব।’
ক্রীড়াঙ্গন ও নানা পারিপার্শ্বিক চাপ এবং অনুরোধে বিকেএসপি ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ বেশ পুরনো। আজ মহাপরিচালকের এমন মন্তব্যে বিগত সময়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ভর্তির অভিযোগ উঠলেও এখন শতভাগ মেধা ও স্বচ্ছতায় হয়েছে বলে মন্তব্য তার, ‘অবশ্যই হয়েছে (স্বজনপ্রীতি), কিন্তু সর্বশেষ যেটা গত ডিসেম্বরে একটা খেলোয়াড়ও রিকোয়েস্টের ছিল না। যে কোয়ালিটিফুল সেই এসেছে (ভর্তি হয়েছে)। ইনশা-আল্লাহ এর ফলাফল আগামী তিন চার বছরের মধ্যে পাব আশা করি।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম বিকেএসপির মহাপরিচালক দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছরের ডিসেম্বরে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পদ মহাপরিচালক। ২-৩ বছর পর মহাপরিচালক, পরিচালক প্রশিক্ষণসহ একাধিক পদে পরিবর্তন হয়।
ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের অনুরোধ, রাজনৈতিক ও সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের চাপে বিভিন্ন সময় বিকেএসপির ভর্তি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। অনেক সময় বিকেএসপি সেই অনুরোধ গিলতে কিংবা চাপ সহ্য করতে বাধ্য হয়, আবার কখনও বিকেএসপি সংশ্লিষ্ট অনেকেই পক্ষপাত করে ভর্তি করায় এমন অভিযোগেরও আলোচনা হয় ক্রীড়াঙ্গনে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: